বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার প্রস্ততি

 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার প্রস্ততি

সরকারি নির্দেশনা মেনেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্ততি নিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বার্তা।


তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে থেকে শুরু হবে ক্লাস। শিক্ষার্থীরা এ খবরে স্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকেরই শংকা টিকা পাওয়া নিয়ে।
 

আবারও প্রাণ ফিরবে প্রাণের ক্যাম্পাসে। ছাত্র শিক্ষকে মুখর হবে ক্লাসরুম। মিলেছে সেই সবুজ সংকেত। করোনা সংক্রমণের হার এখন চারের নীচে। তাইতো দেড় বছরের বেশি সময় পর আবারও সশরীরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। সেই খবরে চলছে প্রস্তুতি, চলছে ক্লাসরুমের ধোয়া-মোছার কাজ।
 
বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যদিও এখনও এসে পৌঁছায়নি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের লিখিত বার্তা। তবে নিজেদের প্রস্ততি নিতে এরই মধ্যে ভর্তিসহ নানা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও যারা এসেছেন তারা স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার খবরে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাস খোলার পরে একটা আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে পড়াশুনা শুরু করার ফলে আমাদের উন্নতিটা বুঝা যাচ্ছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন দুই শর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার নিদের্শনা দিয়েছে। সবাইকে নিতে হবে অন্তত এক ডোজ টিকা। এরইমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী সেই শর্ত নিশ্চিত করেছে।
 
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এম মইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। আমাদের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের শতভাগ প্রথম ডোজ নেওয়া হয়েছে।
 
তবে কেউ কেউ এরইমধ্যে আগামী মাস থেকে খোলার ঘোষণা দিয়েছেন।
 
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।
 
বর্তমানে দেশে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সশরীর ক্লাস বন্ধ আছে।

Post a Comment

0 Comments